ফরিদপুরের সালথায় এক রাতে দুই গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পৃথক দুটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে সাইফুর মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিল্ডিংয়ের পাশে থাকা গাছ বেঁয়ে ভেতরে ঢুকে দরজা ভেঙে বাড়ির সদস্যদের ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লেপের নিচে ঢেকে রাখে ৭-৮ জনের সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল। তারপর ওয়ারড্রব ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ এক লাখ টাকা ও মোবাইলসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় তারা।
পরে রাত আড়াইটার দিকে একই উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের বাড়িতে হানা দেয় ৭-৮ জনের ডাকাত দল। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রথমে আতিকুরের ছেলে সাইদুরের হাত-পা বেঁধে ফেলে। তারপর পাশের রুমে থাকা আতিকুরকেও হাত-পা বাঁধে ডাকাত দল।
আতিকুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের ঘরের কাপড়চোপড়সহ সব ধরনের মালামাল লুটে নেওয়ার পর, আমার বড় ভাইয়ের বাচ্চা ছেলেকে অস্ত্রের মুখে রেখে ওর মাকে ডাকতে বাধ্য করে। ওর মা এতো রাতে ছেলের ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলতেই ৫-৬ জন ঘরে ঢুকে যায় এবং চিৎকার দিতেই একজন অস্ত্র ঠেকিয়ে ধরে। তারপর সারা ঘর তছনছ করে সব কিছু লুটে নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা তারা এই তাণ্ডব চালায়। ছয়টি মোবাইলসেট, সোনার গহনা ও নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় ডাকাত দল।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ, তদন্ত ক্রাইম বিভাগ) শৈলেন চাকমা দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, আমরা এই ডাকাতির ঘটনা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করি দ্রুতই এই ডাকাত চক্র আইনের আওতায় আসবে।
তবে কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে শৈলেন চাকমা বলেন, অভিযোগ পেলে মামলার ভিত্তিতে আরও ব্যাপকভাবে কাজ করতে পারবো।
নয়াশতাব্দী/টিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ