নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনে আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের একটি ঘরের সিঁধ কেটে মা ও মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, এ সুযোগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে তার বসত ঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তিন যুবক।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগে নির্যাতিত গৃহবধূ নতুন এ বাড়িতে ওঠেন। ওই বাড়িতেই সিঁধ কেটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
এর আগে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়।
আলোচিত এ মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল। উপজেলাটি দলবদ্ধ ধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ