চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ৮টি কৃষি খামারের ৩১৩ দশমিক ৫০ একর জমি মুড়ি আখ চাষের জন্য ইজারা সিদ্ধান্তে অহেতুক কালক্ষেপণে ১ কোটি ৩২ হাজার টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জমি ইজারা সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দর্শনা চিনিকল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর কথা বললেও ম্বয়ং চেয়ারম্যান সেটা জানেন না বলে জানিয়েছেন।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল কার্যালয় থেকে জানা যায়, ওই চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে মুড়ি আখ চাষের জন্য চিনিকলের ৮টি কৃষি খামারের ৩১৩ দশমিক ৫০ একর জমি ইজারা দেয়ার জন্য ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে সিডিউল ৫শ টাকা দরে, মূল চিনিকলের উপ-ব্যবস্থাপক (ক্যাশ), ঢাকা ৩, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কার্যালয় হতে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সংগ্রহ করা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে। এরপর দিন অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা সদর দপ্তরের বিপণন বিভাগে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ও চিনিকলে রক্ষিত টেন্ডার বাক্সে সিডিউল জমা নেয়ার পর ওই দিন ১২টা ৫ মিনিটে টেন্ডার বাক্স খোলা হবে। দরপত্র সংগ্রহের পর ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় উপস্থিত দরদাতাগণের সামনে দরপত্রের খাম খোলা হবে, অনিবার্য কারণে নির্ধারিত তারিখে টেন্ডার গ্রহণ অথবা বাক্স খোলা না গেলে পরবর্তী কার্য দিবসে নির্ধারিত সময়ে টেন্ডার গ্রহণ ও বাক্স খোলা হবে বলে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। শতাধিক আগ্রহী ইজারা গ্রহীতা দরপত্র দাখিল করে।
একাধিক সূত্র জানায়, গত বছর একর প্রতি জমি ইজারার জন্য সর্বোচ্চ ২১ থেকে ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দর উঠেছিল। কিন্তু এবার তা ৩০ থেকে ৪১ হাজার টাকায় ঠেকেছে। দরপত্র যাচাই করে ৩৩ জন দরদাতাকে একর প্রতি ৩২ হাজার টাকা পরিশোধ করে জমি ইজারা দেয়ার জন্য চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ৪৮ দিন পেরিয়ে সোমবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যাদেশ দেয়া হয়নি বলে জানা যায়। এর ফলে এ প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩২ হাজার টাকা লোকসান হবে বলে দরদাতাগণ অভিযোগ করেছে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী বলেন, এটা চূড়ান্ত রূপ দেয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠিয়েছি। ওখান থেকে নির্দেশনা আসলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি বলেন, কেরু চিনিকলের জমি ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রধান কার্যালয়ে পড়ে রয়েছে তা আমার জানা নেই। টেন্ডার হওয়ার পর কি কারণে জমি ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া থেমে রয়েছে তা আমি দেখব।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ