ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশনার সময়: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫

শীত ও ভালো আবহাওয়ার কারণে পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমন নয়নাভিরাম হলুদ সরিষা ফুলের দৃশ্য, ফুলের গন্ধ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর মৌমাছির গুঞ্জন মনকে বিমোহিত করে সরিষা দানা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ জমি থেকে সরিষা উঠিয়ে মাড়ায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ উঠানোর অপেক্ষায় রয়েছেন।

তারা বলছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা জমি থেকে সরিষা উঠাতে পারবেন। আর সরিষার ভালো দানা দেখে স্বপ্ন বুনছেন এ উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় সরিষার আকার ও ফলন ভালো হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, সরিষা চাষ এখন লাভজনক হওয়ায় এলাকায় দিন দিন এ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ-ছয় মণ হারে সরিষা ঘরে তোলা যাবে। উচ্চ ফলনশীল জাতের বারী-৯, ১১, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, বিনা-৪, বিনা-১১, টরি-৭ জাতের সরিষাসহ স্থানীয় জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। এ বছর এ উপজেলায় চার হাজার কৃষককে প্রণোদনা বাবদ বিনামূল্যে ১কেজি বীজ, ১০কেজি ডেপ, ১০কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা, আমদানি নির্ভরতা কমানো, ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণ এবং দাম ভালো পাওয়ায় বেড়েছে সরিষা চাষ।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক মাহাবুল আলম বলেন, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষা চাষে সেচ দিতে হয়। যেখানে খরচ পড়ে অন্তত ১২০০ টাকা। সরিষা রোপণে গাছ বড় হওয়ার পরই বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাড়তি সেচ দিতে হয়নি। ফলে প্রায় দেড় হাজার টাকার মতো বেঁচে গেছে।

উপজেলার মুলাডুলি গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, দেড় বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এর মধ্যে এক বিঘা জমির জন্য কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা পেয়েছি বীজ ও সার। এতে আমার প্রায় ৬০০ টাকা বেঁচে গেছে। আমার মতো অনেক কৃষক প্রণোদনা পাওয়ায় এবছর ব্যাপক পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এ ছাড়া আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছ ভালো আছে। আশা করছি ফলনও ভালো পাব।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ মিতা সরকার জানান, উপজেলায় এবার উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালের আমন ধান আবাদ করায় ধান কাটার পরপরই কৃষকরা আমন ধানের জমিতে দ্রুত সরিষার আবাদ করে। এ কারণে অনেকেই সরিষা বীজ ফেলেছেন সুবিধাজনকভাবে। তাই এ বছর সরিষা আবাদ গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কী করণীয় সে বিষয়ে কৃষককে সচেতন করা হয়।

নয়া শতাব্দী/টিএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ