ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে: আইজিপি

প্রকাশনার সময়: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩০

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি। আমাদের সদস্যরা নিজের দায়িত্ব সুশৃঙ্খলভাবে পেশাদারির সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করছে। যার ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কর্ণফুলীতে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্ত উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই বিশাল বাহিনীকে শৃঙ্খলায় রাখার জন্য সরকারের যে বিধি-বিধান আছে, তা যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এই বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখছি। পেশাদারির দিক থেকে এক ঈর্ষণীয় পর্যায়ে অবস্থান করছি। পেশাদারি বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি কাজ করছে। বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশও কাজ করছে। আইনানুগভাবে বিজিবি আমাদের কাছে সব সহযোগিতা পাবে।

বংশাল থানায় পুলিশ হেফাজতে এক বডিবিল্ডারের মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, যেকোনো মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত। আমাদের হেফাজতে যদি কোনো মৃত্যু হয়, এটার একটা প্রটোকল আছে, আমরা তা ফলো করি। পুলিশ হেফাজতে কারো মৃত্যু হয়ে থাকলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহের সুরতহাল করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, পোস্টমর্টেম ও তদন্তের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে আসে, সেটি নিয়ে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। সামনেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্তকেন্দ্র চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আসবে বলে বিশ্বাস করি। দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। এখানকার পুলিশ সদস্যদের নদীতে যে দায়িত্ব, তা পালন করতে পারবে বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে বন্দর আছে। সে জন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে। শুধু বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তা নয়, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ তদন্তকেন্দ্র ও নৌ পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।

চট্টগ্রামে সম্প্রতি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আইজিপি বলেন, আমাদের কেউ অপরাধ করলে তাকেও ছাড় দিচ্ছি না। এমনকি চুরি হওয়া স্বর্ণের ৭০ ভাগ আমরা উদ্ধার করেছি। পুলিশ আন্তরিকতা ও পেশাদারি নিয়ে মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। তবুও অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ এস এম মাহাতাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের মূল অপারেশনাল এরিয়াকে শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে চারটি নৌ-তদন্তকেন্দ্র নির্মাণে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙাদিয়া, নগরীর চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় এই চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রথমবারের মতো ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্তকেন্দ্রের জন্য নদীর কাছে জায়গা বরাদ্দ দেয়। সেখানে দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করবে সিএমপির নৌ-তদন্তকেন্দ্র। কেন্দ্রটিতে ৩৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

নয়া শতাব্দী/টিএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ