শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

স্বদেশে ফেরার আকুতি লাখো রোহিঙ্গার

প্রকাশনার সময়: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৫ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৮

স্বদেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে আবারও আওয়াজ তুলেছে বাংলাদেশে আশ্রিত লাখো রোহিঙ্গা। তাদের দাবি, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দ্রুতসময়ের মধ্যে যেন তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়। এজন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। তা নাহলে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মিয়ানমারে চলমান জান্তা ও বিদ্রোহীদের সংঘাতের বিষয়টিও সমাবেশে উঠে এসেছে। এই সংঘাত থেকে আর কোনো রোহিঙ্গা যেন ধৈর্যহারা হয়ে নিজ দেশ ছেড়ে না যায়, সেজন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জড়ো হতে থাকে আশপাশের ক্যাম্পে থাকা আশ্রিতরা। সবার পরনে ছিল সাদা শার্ট ও লুঙ্গি। সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় সমাবেশ। তিন ঘণ্টার সমাবেশ শেষে মোনাজাত করা হয়। এ সময় আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় রোহিঙ্গারা।

আয়োজক সূত্র জানায়, সমাবেশে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা মিলিত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাধারণ রোহিঙ্গা ছাড়াও ছিল ক্যাম্পের হেড মাঝি, সাব মাঝি, ধর্মীয় নেতা ও নারীরা। প্রত্যাবাসন দাবিতে রোহিঙ্গাদের এত বড় সমাবেশ করতে দেখা গেছে গত বছরের ২৫ আগস্ট। একযোগে উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি ক্যাম্পে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এবার সমাবেশ থেকে একযোগে রোহিঙ্গাদের স্লোগান ছিল, ‘অনেক হয়েছে আর নয়, এবার স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই।’

ক্যাম্প-১৩-এর বাসিন্দা ছলিম উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশ আছে। মিয়ানমারের আরাকান আমাদের দেশ। আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই।’

ক্যাম্প-২৬-এর বাসিন্দা মো. হাবিব বলেন, ‘এক বছর দুই বছর করে ৭ বছর পার করছি পরদেশে। এখানে আর থাকতে চাই না, নিজেদের অধিকার নিয়ে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।’

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন আরওএফডিএমএনআরসির সংগঠক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘মিয়ানমারের আরাকানে আমাদের যারা আত্মীয়স্বজন, মা-বাবা ও ভাই-বোন আছে, তাদের ওপর অনেক নির্যাতন হচ্ছে। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন কোনো দিনও দেশ ছেড়ে চলে না আসে।’

আরওএফডিএমএনআরসির প্রতিষ্ঠাতা মো. কামাল হোসাইন বলেন, ‘সমাবেশে মা-বাবা, ভাই-বোন যারা এসেছে তাদের দায়িত্ব যদি যুবকরা কাঁধে নেয়, তাহলে এক বছরের মধ্যে আমাদের দেশে আমরা ফিরে যেতে পারব।’

নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ