ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক বছর আগে চাচাতো বড় ভাবিকে বিয়ে করে আত্মগোপনে ছিলেন। ফিরে এসে সহোদর দুই ভাতিজার হাতে খুন হন লাল্টু মোল্লা।
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লাল্টু মোল্লা শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামের গ্যানো মোল্লার ছেলে এবং ওই সহোদরের নাম আসাদ ও মিরাজ। লাল্টু মোল্লা তাদের সম্পর্কে চাচা।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে নিহত লাল্টু মোল্লা চাচাতো বড় ভাবি রিভাকে পরকীয়ার জেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। এ ঘটনায় একই গোষ্ঠীর যৌথ পরিবারের মাঝে বিরোধ শুরু হয়। নিহত লাল্টু দীর্ঘদিন আত্মগোপন থেকে সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে আসেন। দুপুরে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিলের ধারে সবুজের মাছের খামারের কাছে পৌঁছালে ভাতিজা আসাদ ও মিরাজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় লাল্টু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাল্টুকে মৃত ঘোষণা করেন।
শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ