মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে সে দেশের সেনাবাহিনীর চলমান যুদ্ধের জেরে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মিয়ানমারে চলমান এই যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। যার বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে, আবার কখনো একনাগাড়ে সীমান্তের ওপারে কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির বিকট শব্দ।

এতে তুমব্রু এলাকার শূন্যরেখার পার্শ্ববর্তী বাইশফাঁড়ি, চাকমা পাড়া, উত্তর পাড়াসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি পাড়ায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক প্রথমে তমব্রু এলাকায় নির্মাণার্ধীন শরণার্থী ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং পরে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এসময় তিনি সার্বিক পরিস্থিতি প্রশাসনের নজরে রয়েছে বলে নিশ্চিত করে, বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান সাংবাদিকদের।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রশাসন সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছে, মিয়ানমারের এই সময়ের ঘটনায় এপারে আতঙ্ক থাকলেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহীন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মো. আমজাদ হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকারিয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নয়াশতাব্দী/এনএস