গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রেজা সাঈদ আল মামুন (৫৫) নামের কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানির পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের বড় ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬০) ও ছোট ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) এবং তার দুই ছেলে মো. সুমন (২৮) ও মো. সিজান (২০)।
র্যাব জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের মেঝো ছেলে রেজা সাঈদ আল মামুন রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাড়ির পাশের জমিতে আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। এসময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নিহত রেজা সাঈদ আল মামুন স্থানীয় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
পরে নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলীকে হুকুমের আসামি এবং ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে মূল পরিকল্পনাকারী ও তার দুই ছেলে মো. সুমন ও মো. সিজানকে আসামি করা হয়।
মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, কলেজ শিক্ষক রেজা সাঈদ আল মামুন হত্যার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাব সদস্যরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার হুকুমদাতা আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোররাতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন জয়েরটেক এলাকার জনৈক হাসেম খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক আসামি মো. মুজিবর রহমান এবং তার দুই ছেলে মো. সুমন ও মো. সিজানকে গ্রেফতার করা হয়।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিহত কলেজ শিক্ষক রেজা সাঈদ আল মামুনের সঙ্গে গ্রেফতার আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ