দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনে কেন্দ্র দখল নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল (৫৫) মরা গেছেন।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আ. জলিলের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম

আব্দুল জলিল শেরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একই এলাকার মৃত কুমেদ আলীর ছেলে।

শেরপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন দুপুর ২টার দিকে শেরপুর ইউনিয়নের ইমাম হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমর্থকরা।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের সমর্থকরা ফেরাতে গেলে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হন আব্দুল জলিল।

আহত আব্দুল জলিলকে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন আহত জলিলকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন রোববার সকাল ১০টার দিকে আব্দুল জলিল মারা যান।

এঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি নিহত আ. জলিলের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মো. আবুল কালাম, মো. শামীম ফকির, ডা. তাজুল ইসলাম, রুকন উদ্দিনসহ ১৮ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, কেন্দ্র দখলকে নিয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমর্থকদের হামলায় আব্দুল জলিল গুরুতর আহত হন। রোববার ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

আব্দুল জলিলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। তিনি হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম, সেলিম রানা ও রুকন উদ্দিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। ১২ জন আসামি কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ