ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না পুলিশ সদস্য আজিজুল হাকিমের (৩৫)। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। বাড়ি ফিরল এক নিথর দেহ।
আজিজুল হাকিমের মৃত্যুতে তার নিজ বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের বালিদিয়া মধ্যপাড়া মোড়ল বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ কৃষক বাবা তফাজ্জল হোসেন। আর স্বামীর মৃত্যুতে ক্ষণে ক্ষণে মুর্ছা যাচ্ছে স্ত্রী ও কন্যা।
নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) পরিবারিক কাজে ৭ দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার ফকিরের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন পুলিশ সদস্য আজিজুল হাকিম। পথিমধ্যে নেত্রকোনা সদরের চল্লিশা ইউনিয়নের ঝাউসী এলাকায় প্রাইভেটকারের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আজিজুল হাকিমসহ আরও দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফারজানা জাহান তন্নী এবং এক মেয়ে মোজায়না আফরোজ আয়েশা (৫) তাকে হারিয়ে আজ নিঃস্ব।
নিহতের চাচাতো ভাই স্বপন মিয়া জানান, পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় আজিজুল ও তন্নীর। তন্নী আজ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, স্বামীকে হারিয়ে একেবারেই ভেঙে পড়েছে। পাঁচ বছরের মেয়ে আয়েশা এ অবস্থায় কোনো কথাই বলতে পারছে না। এই শোক সইবার মতো না।
তিনি আরও বলেন, আজিজুল চাকরির সুবাদে নেত্রকোনায় থাকলেও, চাচার খাওয়া দাওয়ার সুবিধার্থে তার স্ত্রী-কন্যাকে বাড়িতেই রাখতেন। প্রতিবারের মতো এবারও ছুটিতে বাড়িতে আসার সময় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সরকারের কাছে দাবি, এই অসহায় পরিবারটি জন্য যে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ