চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে এক ক্লিনিকে হাফিজা খাতুন (৩৫) নামের এক নার্সকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কবির নামে নিহতের দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজা খাতুন জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবীরের স্ত্রী।
নিহতের এক সহকর্মী জানান, শনিবার সকালে হাফিজার স্বামী ক্লিনিকে আসেন। এক পর্যায়ে হাফিজার সঙ্গে কোনো কারণে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান। রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় হাফিজার সঙ্গে আলাপচারিতা শেষে তৃতীয় তলায় যান এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।এসময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় হাফিজা খাতুনকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে, সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, জীবননগরের এক ক্লিনিক থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো একটি ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ কবির হোসেনকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ