সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানা শিল্প ক্ষেত্রের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সেই ধারাবাহিকতায় এখন এই অঞ্চলে ইরি ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
বেলকুচি থানা বন্যা কবলিত একটি অঞ্চল। এখানে প্রতি বছরই কম-বেশি বন্যা হয়। বন্যা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন ধরনের শস্য ফলানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন এখানকার কৃষকরা। সরিষা ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন ইরি ধান রোপণের জন্য।
বেলকুচি উপজেলায় কৃষি বাতায়নের সূত্র মতে, এক ফসলি জমির মোট আয়তন ১৮৯৩ হেক্টর এবং দুই ফসলি জমির মোট আয়তন ৭০০০ হেক্টর। তিন ফসলি জমির মোট আয়তন ৩৩০০ হেক্টর। এছাড়া অনাবাদি জমির মোট আয়তন ১২১৯৩ হেক্টর।
২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, সমেশপুর, তামাই, আম বাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ইরি ধান রোপণে ব্যস্ত আছেন কৃষকরা।
কৃষক মন্টু তালুকদার এই প্রতিবেদককে জানান, আমার প্রায় ১৫ বিঘা আবাদি জমি আছে। এর মধ্যে বেলকুচির মেইন রাস্তার পূর্ব পাশে ১০ বিঘা ও পশ্চিম পাশে প্রায় ৫ বিঘা, এই ৫ বিঘা জমিতে আমি শুধু ইরি ধান আবাদ করি। কারণ এখানে বন্যার পানি প্রবেশ করে না, কিন্তু দুঃখের বিষয়, পূর্ব পাশের জমিগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করার দরুণ বাধ্য হয়ে সরিষা ও ধানের আবাদ করতে হয়। ধান চাষ করেও তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না। শ্রমিকের দাম বেশি, হালচাষ, সার সবকিছু মিলে খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। জমি তো আর পতিত রাখা যাবে না। তাই আবাদ বসত করে যাচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ