ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা

প্রকাশনার সময়: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

২৮তম ঢাকা আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলার শুরু হওয়ার প্রথম ৫ দিন তেমন লোক সমাগম না হলেও মাসব্যাপী এ মেলার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির ২য় দিন শনিবার জমজমাট হয়ে উঠেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে বেচাকেনা। এতে যেমন খুশি মেলায় আগত ব্যবসায়ী তেমনি খুশি গেইট ইজাদার ও মেলা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রূপগঞ্জ উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছেলেমেয়েরা যেন মেলায় এসে ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্কে ধারণা ও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত জীবনার্দশ, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য তাদেরকে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে মেলা গেইট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান আব্দুল্যাহ এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পহেলা জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে গত ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। শুরুর প্রথম ৫দিন ঘন কুয়াশা, সরকারি কর্ম দিবস থাকায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা দর্শনার্থীদের তেমন সাড়া মেলেনি এ মেলায়। হয়নি তেমন বেচাকেনা। তবে মাসব্যাপী মেলার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন শুক্রবার ও শনিবার ছিল এর ভিন্ন চিত্র। ছুটির দুদিন সকাল থেকে দিন বাড়ার সাথে সাথে রাজধানীসহ আশেপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলায় প্রায় ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গেইট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।

মেলায় লোকসমাগম ভাল হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মেলার দোকানদার। বিশেষ করে অ্যালুনিয়ামের দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এছাড়া বেডসিট, হাতে তৈরি বিভিন্ন বাহারি নকশার কাপড়, থ্রি-পিস, স্যুট ব্লেজার, জুতা, বিদেশি কার্পেটসহ ক্রোকারিজের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে মেলায় বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দাম বাইরে থেকে কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আগত দর্শনার্থীরা। অপরদিকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে দোকানে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর উপর বিশেষ ছাড় দেয়া শুরু করেছেন দোকানরা। মেলা রাজধানীর পাশে পূর্বাচলে মনোরম পরিবেশে স্থায়ী ভেন্যুতে বসায় এবং রাজধানী থেকে আসা যাওয়া করার সড়কটি মনোমুগ্ধকর হওয়ায় খুশি রাজধানী থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

এবারের মেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৩৫০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। তাছাড়া এবারের মেলায় ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। টিকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা ও ছোটদের ২৫ টাকা। শিশুদের জন্যও রয়েছে একটি শিশু পার্ক।

মেলার গেইট ইজারাদার আব্দুল্যাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভূইয়া জানান, স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা যেন মেলায় এসে ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্কে জ্ঞান ধারণ করতে পারে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বাড়ির আদলে তৈরি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় আগের বছরের চেয়ে অনেকটা ভাল জমে উঠবে বলে তিনি আশাবাদী।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর সচিব বিবেক সরকার বলেন, শুরুর প্রথম কয়েকদিন মেলায় লোকসমাগম কম ছিল। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকে আশানুরূপ লোক সমাগম ঘটেছে। আশা রাখি অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় লোকসমাগম বেশি হবে। বৈদেশিক রফতানির আদেশও অনেকটা বেশি হবে। মেলায় যেন খাবারে দাম বেশি না রাখা হয় সেজন্য তালিকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের কারণে মেলা শুরুর সময় নির্ধারণ নিয়ে খানিকটা সমস্যায় পড়ায় কিছু দোকান এখনো তৈরি করতে পারেনি দোকানদাররা। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ