কিশোরগঞ্জে বেশকটি ট্রেনের টিকিট মিলছে কালোবাজারে, এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং জামালপুর থেকে কিশোরগঞ্জ হয়ে চট্রগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের সিংগভাগই থাকে কালোবাজারিদের হাতে।
স্টেশনের কাউন্টারে না পেয়ে যাত্রীদের দ্বিগুণ দামে এসব টিকিট কিনতে হয় কালোবাজারিদের কাছ থেকে। কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনে এমন চিত্র প্রতিদিনের।
প্রশাসন কিছুদিন পরপর দায়সারাভাবে অভিযান চালিয়ে কিছু কালোবাজারিকে আটক করলেও, আইনের নানা ফাঁকফোঁকরে জেল থেকে বেরিয়ে তারা আবারও যুক্ত হয় সেই পুরোনো ধান্দায়।
এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনুযোগ-অভিযোগের আঙুল প্রশাসনের দিকেই। তারা বলছেন, প্রশাসনের নিয়মিত দেখভাল নেই এ বিষয়টির প্রতি।
জানা গেছে, রেল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যাপসে যুক্ত হয়ে নিজ নিজ ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করে রেলে চড়ার নিয়ম করে। এসব নিয়ম করেও তারা রুখতে পারছে না কালোবাজারিদের। কালোবাজারিরা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে নিজস্ব মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে বসে একাধিক আইডি ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে তাদের দখলে নিয়ে নেয় অনলাইনের টিকেটগুলো। এছাড়াও কাউন্টার থেকে অসাধু রেল কর্মচারীর যোগসাজসেও টিকিট হাতিয়ে নেয় তারা।
কারণ হিসেবে অনেকেই চিহ্নিত করেছেন, রেল কর্তৃপক্ষের কোনো না কোনো কর্মচারী যুক্ত আছেন কালোবাজারিদের এই সিন্ডিকেটে। যেন ‘সর্ষে খেতেই ভূত’ অবস্থা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলেন, অনলাইনে ক্রয় করা টিকিট চেক করতে হবে এবং এনআইডির সঙ্গে নামের মিল থাকলেই কেবল ভ্রমণ করা যাবে- এ নিয়ম যেন রক্ষা হয়, সেটা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সেইসঙ্গে কালোবাজারিদের চিহ্নিত করে ধরলেই হবে না, তাদের সঙ্গে এই কারসাজীতে জড়িত রেল কর্মচারীদেরও আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, টিকেট কালোবাজারি রোধে আমরা সব সময় কাজ করছি। এখন রেজিস্ট্রেশনকৃত নম্বরের অনুকূলে টিকিট বিক্রি করা হয়। যার ফলে টিকিট কালোবাজারি অনেকটা কমে গেছে। আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি, কেউ যেন কালোবাজারি করতে না পারে। কালোবাজারিতে জড়িত কাউকে পাওয়া গেলে রেল কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা নেবে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ