অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণে সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। দেশে ৭০ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। এর মধ্যে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ সিভিডিজনিত মৃত্যুহার শতকরা ৩৪ ভাগ। শতকরা ১৯ ভাগ অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী এ সমস্ত অসংক্রামক রোগ।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস সহ-অন্যান্য অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের ওপর এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনসিডি কর্ণারের কার্যক্রম তুলে ধরা ও প্রাপ্তবয়সীদের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে রক্তচাপ পরিমাপ করা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিনামূল্যে এনসিডি কর্নার থেকে ওষুধ সরবরাহসহ কমিউনিটি পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সিএইচসিপি ও কমিউনিটি গ্রুপের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেসশন কন্ট্রোল প্রোগ্রামের বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার এহসানুল আমিন ইমন, সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন সরকার, ফিল্ড মনিটরিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারনে সারা দেশে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। বাংলাদেশে শতকরা ৭০ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। এর মধ্যে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ সিভিডি জনিত মৃত্যুহার শতকরা ৩৪ ভাগ। শতকরা ১৯ ভাগ অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী এ সমস্ত অসংক্রামক রোগ।

সরকার এই পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য উপজেলা হাসপাতালে এনসিডি কর্ণার চালু করেছে। সেখান থেকে রেজিষ্ট্রেশনকৃত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্তবয়সী সবাইকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস শনাক্ত করে এনসিডি কর্নার থেকে সেবা নেওয়ার তথ্য তুলে ধরেন।

কর্মশালায়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, মসজিদের ইমামসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতা ও স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ভূমিকার ওপর জোর দেওয়া হয়।

এসময় উপজেলার সকল সিএইচসিপি ও কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

নয়াশতাব্দী/এনএস