রংপুর রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তার অফিস যেন গরু-ছাগলের খামারে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও ওই অফিসে বছরেও কোনো দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় না, এমনকি স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ দিবস পালনেও রয়েছে এই প্রকৌশলীর অনীহা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্র অফিসের প্রকৌশলী বজলুর রহমান একজন স্বাধীনতা বিরোধী মানুষ। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় চলে নানান অনিয়ম দুর্নীতি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে ঘটনার এ সত্যতা।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে এই ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী কর্মকর্তার কার্যালয়। বাইরে থেকে দেখে মনেই হয় না এটি একটি প্রকৌশলী কর্মকর্তার কার্যালয়। অফিস চলাকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নেই, ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা মেলে গরু ছাগলের বিচরণ। অফিস ঘরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ঝুলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক পুরোনো ছবি। অফিস বারান্দায় অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে লাখ লাখ টাকার লোহার মালামাল। তার পাশেই রয়েছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি। যে বাড়িতে গরু ছাগলের খামার লাগিয়েছে প্রধান ট্রলিম্যান আবেদ আলী। সেই বাড়িতেও চলে দিনরাত জুয়া ও মাদকসেবীদের আড্ডা।
এমন নানান চিত্র নিয়ে কথা হয় অফিস সহকারী মিলন মিয়ার সাথে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, স্যারের কাছে অনুমতি নিয়ে এই গরু ছাগল লাগিয়েছে ট্রলিম্যান আবেদ আলী। জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিষয়ে জানতে চাইলে মিলন বলেন, আমাদের স্যার এগুলো পছন্দ করে না। তাই পতাকা লাগানো হয় না। এসময় অফিসে ছিলেন খালাসি ওয়েম্যান হোসনে আরা ইভা, তবে তিনি কথা বলতে অপারগতা জানান।
এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী বলেন, বজলুর রহমান যেদিন থেকে এই অফিসে যোগদান করেছেন সেই দিন থেকে নানাভাবে কর্মচারীদের নিকট উৎকোচ গ্রহণের প্রস্তাব দেয়, আর না দিলেই করেন অযথা হয়রানি।
এবিষয়ে মোবাইল ফোনে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ফোন কেটে দেন।
এমন নানান অভিযোগ ও করণীয় বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিআর এম) আব্দুস সালামের কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ