সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের মধুপুরে সর্বত্র বিরাজ করছে শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঘরের বাইরে বের হয়েও অনেকের মিলছে না কাজ। ঘন কুয়াশা আর বাতাস শীতকে আরও প্রবল করেছে। এতে করে দিনমজুর-নিম্ন আয়ের মানুষের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে।
একদল ব্যাটারিতচালিত রিকশাচালককে বসে থাকতে দেখা যায় মধুপুর বাসস্টান্ডে। এখানে তারা প্রায় প্রতিদিনই বসে থাকেন যাত্রী আনা নেয়ার কাজে। এখানে রাজু আহমেদ নামের ৪৫ বছর বয়সী এক ভ্যানচালক বলেন, অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি নিজেই। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে-কলেজে পড়াশুনা করে। তাদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের ব্যয়ভার মেটাতে হয়। তবে প্রচন্ড শীতের কারণে এখন লোকজনই ঘর হতে বাইরে বের হচ্ছে কম।
এদিকে মানুষ কাজের আশায় কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হলেও মিলছে না কাজ। দিন ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। বিকেলে শীতের তীব্রতা বেড়ে তা সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। এই শীতের অনুভূতি আরও তীব্র করেছে উত্তরের বাতাস।
শ্রমিক সোলাইমান জানান, তিন দিন যাবৎ প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মাঠে ধানের চারা ও সরিষা তুলতে পারছি না। এই কারণে টাকা রোজগার না হওয়ায় দুদিন ধরে শুধু আলু ভর্তা ও খেসারী ডাল দিয়ে ভাত খেতে হচ্ছে। আয় না হলেও খাবার খরচ বাড়ছে। তীব্র শীতের কারণে তাদের অসহায়ত্ব বেড়েছে বলে জানান সোলাইমান।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ