ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

৩ বছর পর তোলা হচ্ছে সৈকতে পুঁতে ফেলা তিমির কঙ্কাল!

প্রকাশনার সময়: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯

অবশেষে তোলা হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে প্রায় তিন বছর আগে পুঁতে রাখা তিমির কঙ্কাল। শিক্ষা ও গবেষণার কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি) তিমির কঙ্কালটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বোরির বিজ্ঞানীরা সেই তিমির কঙ্কালের খোঁজে হিমছড়ি সৈকতে খনন কাজ শুরু করেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ খনন কাজ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পুরোপুরি খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

কঙ্কালটি উত্তোলনের পর সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বোরিতে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, আলাদা হয়ে থাকা কঙ্কালটির হাড়গুলো জোড়া লাগিয়ে তাতে পরিপূর্ণ রুপ দেওয়া হবে।

এর আগে, ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে ৪৪ ফুট দীর্ঘ একটি মৃত তিমি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। এরপর বনকর্মীরা তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলে। এর আগের দিন ৯ এপ্রিল একই সৈকতের চার কিলোমিটার উত্তরে দরিয়ানগরে আরও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ৪৮ ফুট দীর্ঘ সেই তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়।

বোরির বিজ্ঞানীরা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) পরীক্ষার জন্য পাঠায়। প্রতিবেদনে তিমি দুটি ব্রাইড’স হুয়েল বা বলিনো পেট্রা ইডেনি প্রজাতির বলে চিহ্নিত হয়েছে। ৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি নারী লিঙ্গের এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সারওয়ার আলম জানান, গবেষণা কাজে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ তিমি দুটির কঙ্কাল উত্তোলনের জন্য বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে তিমি দুটির কঙ্কাল দুই প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বোরি তাদের বরাদ্দকৃত তিমির কঙ্কালটি উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্যে তিমির কঙ্কাল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।

নয়া শতাব্দী/ডিএ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ