বিদ্যালয় মাঠের এক পাশে বড় জটলা। সেখানে টেবিলের ওপর শামুক, মালপোয়া, কাঠাল পাতা, নকশি, শিমফুল, মাংসের পুলি, চিপস, ঝুড়ি, পয়সা, তারা, পাটি সাপটা, কদম, কুমড়াসহ বাহারি নামের সব পিঠা টেবিলে থরে থরে সাজানো। স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই সেগুলো দেখছিল শিশু শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ আবার খেয়ে স্বাদ নিচ্ছিল বাহারি সব পিঠার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের আউলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসব।
ছোট ছোট ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দেশিয় ঐতিহ্য এই পিঠাকে পরিচিত করতে এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস সানি।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসব পিঠা তৈরি করে আনেন। এতে পিঠার পরিচিতির পাশাপাশি বিদ্যালয়েও ছিল উৎসবের আমেজ।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল জিহান দানা জানায়, সে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবে অংশ নিয়েছে। এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর নামের পিঠা ছিল, যা সে আগে কখনো দেখেনি। প্রথমবার অনেক নতুন জাতের পিঠার নাম শুনেছে এবং শিখেছে।
শাহ মিসকিন ছোয়াদ নামে একই শ্রেণির শিক্ষার্থী জানায়, সে প্রথমবার বিচিত্র এ পিঠা উৎসবে পিঠা নিয়ে অংশ নিয়েছে। আর ইচ্ছেমতো পিঠা খেয়েছে ও আনন্দ করেছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমাইয়া সুলতানা বলেন, এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে ছিল উৎসবের আমেজ। পিঠা উৎসবে এসে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিতি হতে পেরেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস সানি বলেন, অনেক পিঠা দেশ থেকে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে। এসব পিঠা দৈনন্দিন ব্যস্ততার কারণে এখন আর ঘরে তৈরি হয়না বললেই চলে। তাই আমাদের চাওয়া একদিন অন্তত আনন্দঘন পরিবেশে নতুন প্রজন্ম এসব পিঠার সঙ্গে পরিচিত হোক। এতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে অংশ নেয়ার পাশাপাশি পিঠা খেতেও পেরেছে।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ