ব্র্যাক ব্যাংকের ভৈরব শাখার একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শাহিদা আক্তার রিপা নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে জমাকৃত ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা নিজের আরেক অ্যাকাউন্টে কিভাবে ট্রান্সফার হয়েছে, সেটা ভুক্তভোগী নিজেও জানেন না। তবে বাকি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিভিন্ন বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অবভিযোগ ওই নারীর।

ভুক্তভোগী শাহিদা আক্তার জানান, গত ২ জানুয়ারি ৪ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পর তার অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮ শ টাকা থাকার কথা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ব্যাংকে লেনদেন করতে গিয়ে দেখতে পান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে ব্যাংক হিসাব চেক করে দেখতে পান, তার জমানো টাকা প্রায় শেষ। পরে তিনি হিসাবের আর্থিক বিবরণী (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) তুলে জানতে পারেন, তার আরেকটি পুরনো অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকা নতুন করে জমা হয়েছে, যা তার কাছে অজানা।

শাহিদা আক্তার বলেন, ‘যদিও পুরনো অ্যাকাউন্টে আমি ২ বছর যাবৎ কোনোপ্রকার লেনদেন করিনি, তবে ওই অ্যাকাউন্টে কিভাবে টাকা জমা হলো- এটাই আমার প্রশ্ন। এছাড়াও বাকি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ ব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ করব।’

এ বিষয়ে ভৈরব শাখা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শরীফ আল মাহমুদ জানান, অভিযোগ জানার পর আমরা জেনেছি ও দেখে বুঝতে পেরেছি যে, উনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে। এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এছাড়া গ্রাহক যেহেতু টাকা উত্তোলন করেননি, সেক্ষেত্রে বাকি টাকা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। আমারা হেড অফিসে বিষয়টি অবগত করেছি। বিষয়টি তদন্তের পর মূল ঘটনার কারণ জানা যাবে।

নয়া শতাব্দী/ডিএ/এনএস