নাটোরের নলডাঙ্গায় একটি মাদরাসায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে চারজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় চাঁদা দাবি করার ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, ময়মনসিংহের আকনপাড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে লিমন হোসেন (২৭), গাজীপুরের মোঘরখাল এলাকার আবু সাইদ সরকারের ছেলে জয় সরকার (২৮), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হামরাজ গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী জয় (২৭) এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার ভারতকান্দি গ্রামের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে সিহাব মিয়া (২৪)।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহা. মনোয়ারুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানায় যান লিমন, জয়, ইউনুস, সিহাব নামে চার যুবক। পরে তারা প্রধান শিক্ষকসহ মাদরাসা কর্তৃপক্ষকের কাছে গিয়ে নিজেদের দৈনিক আজকের বসুন্ধরা, বাংলাদেশ সমাচার, এই বাংলা ও চ্যানেল ২১ এর সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। এসময় সাংবাদিত পরিচয় দেয়া ব্যক্তিরা মাদরাসার নানা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করার ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তারা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় তাদের কথাবার্তা ও চলাফেরায় সন্দেহ হলে সেখানে জমায়েত হওয়া স্থানীয়রা তাদের নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। একসময় অসংলগ্ন কথাবার্তায় উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ি মাদরাসা ও এতিমখানায় কর্মরত প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তিন যুবক ও গাড়ি চালককে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
ওসি আরও জানান, আগেও সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করেছিল অভিযুক্তরা। গ্রেফতাররা সকলেই নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন। এসময় তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পরিচয়পত্র ও গণমাধ্যমের স্টিকার লাগানো ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে বুধবার দুপুরে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ