সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরে প্রকাশ্য দিবালোকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় চালকসহ চার ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জগন্নাথপুর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদ্বীশপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান তালকুদার গত ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে পৌরশহরের জগন্নাথপুর বাজারের সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে দুই লাখ ৩৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি একটি অটোরিকশাযোগে পৌরশহরের ইকড়ছই স্লুইসগেইট এলাকায় যাওয়ার পথে জগন্নাথপুর বাজার সংলগ্ন ইকড়ছই জামে মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশায় যাত্রীবেশে থাকা অপর চার ছিনতাইকারী তাকে চাকু দেখিয়ে জোরপূর্বক প্যান্টের পকেট থেকে ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে দ্রুত অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর সোমবার (২২ জনুয়ারি) রাত ৮টার দিকে স্থানীয় পৌরপয়েন্টে ওই ছিনতাইকারীদের সঙ্গে থাকা অটোরিকশার চালককে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করে পুলিশকে সোর্পদ করেন ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যবসায়ী।

আটক চালকের নাম জুবেদ আহমদ (২৩)। তিনি সিলেট জালালাবাদ থানার ফতেপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বাদি আবু সুফিয়ান তালুকদার জানান, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হওয়ার সময় সামনে একটি অটোরিকশা দাঁড়ানো ছিল। আমাকে বলল, কই যাবেন। আমি বললাম, সামনে যাবো। তখন চালক বলল, আমরা ওই দিকেই যাচ্ছি। তখন অটোরিকশায় আরও চারজন থাকায় আমিও অটোরিকশায় উঠে পড়ি। কিছুদূর যাওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই চার ছিনতাইকারী চাকু উঠিয়ে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়।

‘পরে গত সোমবার আমি ছিনতাইকারীদের সঙ্গে থাকা ওই চালককে চিনতে পেরে, তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করি। এ ঘটনায় আমি তিনজনের নাম উল্লেখ করে চারজনকে আসামি করে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছি।’

এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সুহেল আহমদ বলেন, ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা নিয়ে চালক ও যাত্রী সেজে দিনদুপুরে ছিনতাই করে অর্থ লুটের ঘটনা আমি শুনেছি।

জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) সুশংকর পাল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

নয়া শতাব্দী/এনএস