শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ৬০ নম্বর উত্তর মলংচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সচেতন মহল থেকে গাছ বিক্রির বিষয়টি গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। গাছ বিক্রির সাথে প্রধান শিক্ষকের সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের মলংচড়া মৌজার ৩৩ শতাংশ জমির উপর ১৯৮৪ সনে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সনে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আওতায় পড়ে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মো. মান্নান তালুকদার। আরও ২ বছর তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দীর্ঘ ৪০ বছরে বিদ্যালয়ের সীমানায় অবস্থিত গাছপালা বড় হয়ে মূল্যবান হয়েছে। সেই গাছের মূল্যের প্রতি লোলুভ দৃষ্টি পড়ে প্রধান শিক্ষকের। তাই তিনি কৌশলে স্থানীয় সামসুদ্দিন বেপারীর সহযোগিতায় শাহাবুদ্দিন নামক এক ব্যবসায়ীর নিকট গাছ বিক্রি করে দেন। বিষয়টি অনিয়ম ভেবে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবেশী সামসুদ্দিন বেপারী মিলে শাহাবুদ্দিনের কাছে গাছ বিক্রি করে। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি প্রক্রিয়া অবৈধ হয়েছে ভেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ করেছি।
প্রধান শিক্ষক আ. মান্নান তালুকদার বলেন, আমি ১৯৮৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেছি। আরও ২ বছর আমার চাকুরির মেয়াদ আছে। পাশাপাশি আমি একটি মসজিদে ইমামতি করি। ব্যস্ত থাকায় গাছ কাটার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসে (ইউএনও) অভিযোগ করেন। ইউএনও অফিস থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। স্থানীয়রা দায়িত্ব নিয়ে প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছেন অথচ প্রধান শিক্ষকের উচিৎ ছিল বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো। প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ