শতাব্দী ডেস্ক
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জ জেলায়। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকে। সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াছে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর-
চুয়াডাঙ্গা: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ফলে কনকনে শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। ইতোমধ্যে জেলার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬
এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এদিকে, ভোর থেকে ঘন কুয়াশা। হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের।
কাজকর্ম কমে যাওয়ায় তাদের দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ।
চলতি মৌসুমে এ স্টেশনে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তিনি আরও জানান, এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি এ জেলার তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি।
তীব্র শীত ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার সকল প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলে তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস পাওয়ায় খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নির্দেশে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ মঙ্গলবার বন্ধ রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ: আকাশে রোদ দেখা গেলেও বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের জেলা জুড়ে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জেলা জুড়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে গতকাল দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। এটাই এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যার ফলে এই এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ায় উচ্চচাপ বলয়ের কারণে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। রোদ উঠলেও জানুয়ারি মাসজুড়েই এমন শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ