সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে দাফনের ২ মাস পর কবর থেকে এক মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আদালতের নির্দেশে শ্যামনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহর উপস্থিতিতে পার্শেখালীর নিজ বাড়ি থেকে ওই শিশুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের পার্শেখালী গ্রামের বেলাল হোসেন একই গ্রামের আমিনুরের বাড়িতে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করতো। পরে বেলাল স্ত্রীকে রেখে ঢাকায় কাজ করতে যায়। গত ১২ জুলাই দুপুরে বেলালের স্ত্রী আফরোজা খাওয়া দাওয়া শেষে ১ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন৷ অন্যদিকে তার বড় ছেলেকে নিয়ে নানি আছিয়া পাশের বাড়িতে ঘুরতে যান। এ সময় পাড়ার মহিলাদের আবদার আছিয়া নাতনি দেখতে যাবে৷ এরপর বিকাল ৪টার দিকে তাদের আবদার পূরণে বাড়িতে এসে দেখেন তার মেয়ে আফরোজার পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশু সন্তান নেই ৷ পরে তার মরদেহ বাড়ির সামনে পুকুরে ভাসতে দেখা যায় ৷
পরে স্থানীয়দের পরামর্শে তড়িঘড়ি করে তার মরদেহ দাফন করা হয়। সেসময় এলাকায় বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয় যে, কিভাবে ১ মাসের শিশু পুকুরে গেলো?
এর দুই দিন পর ওই শিশুর নানা আমিনুর নিজ বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করেন। যার মামলা নং-১৭৷ এ ঘটনায় স্থানীয় মৃত জব্বার গাজীর ছেলে আজাদ আলীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৬৷
পরে আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ দুই মাস পর ওই শিশুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হলো।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ