কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর বাসকান্দা ঢাকা মহাসড়কের নরসুন্ধা নদের ওপর নির্মাণাধীন কাওনা সেতুর কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। এতে জনদুর্ভোগ নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সেতুর পাশে জনদুর্ভোগ নিরসন কমিটির ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন- জনদুর্ভোগ নিরসন কমিটির আহ্বায়ক আলাল মিয়া, সদস্য সচিব মো, খাইরুল ইসলাম ফকির, সদস্য এবায়দুল ইসলাম, গোলাপ মিয়া প্রমুখ।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এমআরআরআই ডিপি প্রকল্পের আওতায় হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া রাস্তায় চেই: ৪০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ (কাওনা ব্রিজ) কাজটি ২০২১ সালের ১১ ফেব্রয়ারিতে পায় কুমিল্লার বাতুরতলা পুনম প্লাজার ঠিকাদার এইচটিবিএল (জেবিসিএ)। পরে ১২ ফেব্রয়ারি এ কাজটি কিশোরগঞ্জের আলম কন্সট্রাকশান সাব কন্টাকের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়। যা সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ মে তারিখের মধ্যে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পেরে পরবর্তীতে তিন দফা চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করেও কাজটি সমাপ্ত না করে বার বার ঠিকাদারে প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে উধাও হয়ে যায়। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এখানে কোনো রকম সর্তকতামূলক সাইনবোর্ডও লাগানো হয়নি। এতে কাজ চলাকালীন সময়ে এখানে দু’জনের প্রাণহানিসহ যানবাহনের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এসব কোনো কিছুই আমলে নেয় না।
এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দুর্ভোগের প্রতিবেদন প্রকাশ হলে কয়েকদিন কাজ করার পর আবারও ঠিকাদার উধাও হয়ে পড়ে। সোমবার সরেজমিন গিয়ে সেখানেও কোনো শ্রমিকের দেখা মেলেনি।
হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী গালীব মুরশীদ জানান, এ পর্যন্ত সেতুর ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বাকি রয়েছে। এ নিয়ে ঠিকাদারকে কাজ বাতিল করার জন্য বেশ কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ না করেন, তাহলে সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাতিল করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ