বগুড়ার আদমদীঘিতে রাস্তার জন্য মাটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা হয়েছে। বিচার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম সাত জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এর আগে গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পৌওতা প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন হবির মোড় এলাকায় মারামারির এই ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করে থানায় উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌওতা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলেরা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে রাস্তা করার জন্য মাটি দিচ্ছিল। তাদের মাটি দেওয়ার কারণে একই এলাকার পাশের জমির মালিক আব্দুর রশিদ, তার দুই ছেলে আল মামুন রকি ও রবিন, আতোয়ার রহমান ভুট্টু, ওয়াহেদুল ওরফে খরকা, কামাল এবং আব্দুর রশিদের স্ত্রী আলেমা বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও ছেলেদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মারপিট করে। তাদের মারপিটে মনোয়ারা এবং তিন ছেলেসহ ছেলের বউ জখম হয়। মারপিট থেকে বাঁচতে ভূক্তভোগীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। এবং যাওয়ার সময় বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী অভিযোগকারী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সীমানায় রাস্তার জন্য মাটি দিচ্ছিল। কিন্তু তারা হঠাৎ করে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমি ও আমার ছেলে মোস্তাফিজুর আহত হলে স্থানীয়রা আমাদেরকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদীঘি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। যেন এর সঠিক বিচার পাই।’
এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অপর পক্ষের আল মামুন বলেন, ‘আমরা নিয়ম মাফিক কাজ করতে বলেছি। আইন অনুযায়ী যেটা হবে আমরা সেটাতে রাজি আছি। রাস্তা নিয়ে যে সমস্যা, সেটা তাদের কারণেই হচ্ছে। বরং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারাই আগে আমার মায়ের গায়ে হাত তুলেছে। আমরাও মার খেয়েছি। এই ঘটনায় সঠিক বিচারের আশায় আমরাও অভিযোগ দিয়েছি।’
জানতে চাইলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ