বরগুনায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ধানের আবাদ। প্রতি বছর বাম্পার ফলন উপহার দেয়া বরগুনা জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯২ হেক্টর বেশি জমিতে হয়েছে ধানের আবাদ। ৯৯১৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৯৯৪৩২ হেক্টর জমিতে হয়েছে ধানের চাষাবাদ।
হাইব্রিড, উফসী ও স্থানীয় ভালো জাতের ধান উৎপাদন হয় এ জেলায়। জেলার কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির কথা বলেছেন কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ বলছেন, এবারও বরগুনা জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এভাবেই প্রতি বছর বাম্পার ফলন দিয়ে আসছে বরগুনার কৃষক। তবে ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের কৃষক হোসেন আলী আক্ষেপ করে বলেন, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চাষাবাদ করেছি কিন্তু আশানুরূপ ফলন পাইনি। এবার আামার জমিসহ এলাকার অনেকের জমিতেই পোকার আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কীটনাশক ঔষধ তেমন কাজ না করায় কাক্সিক্ষত ফসল আমরা ঘরে তুলতে পারিনি।
বরগুনা সদর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমাদের এ অঞ্চলে ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণের কথা শুনেছি। তবে সার্বিকভাবে বরগুনায় এবারও ব্যাপক ধান উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বছরই শত শত মেট্রিক টন ধান এ জেলা থেকে ক্রয়ের পর বার্জে করে মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অটো রাইসমিলে বিক্রি করেন আড়তদাররা। তারা জানান, মেশিনে কাটার কারণে কাচা ধান নষ্ট হওয়ায় প্রথম দিকে দর কম পেলেও এখন ধানের দর ভালো পাচ্ছেন কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন. ৯৯১৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৯৯৪৩২ হেক্টর জমিতে হয়েছে ধানের চাষাবাদ। বরাবরই এ জেলায় হাইব্রিড. উফসী ও আমন ধানের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারও বরগুনা জেলা বাম্পার ফলন উপহার দিয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ