মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। হিমেল হওয়ায় ঘরের বাইরে বের হলেই জবুথবু অবস্থা। দিনের আলো নিভে গেলেই ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ে কয়েকগুণ। এমন ঠান্ডা থেকে মিলছে না মুক্তিও। শুধু তাই নয়, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের সাথে শীত জেঁকে বসায় এ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। উত্তরের কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে বেশি শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় সূর্য দেরিতে দেখা যাচ্ছে। সে কারণে কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ায় সব প্রক্রিয়াই বিরাজ করছে ।
এমন ঘন কুয়াশা আর শীতের দাপটে বেসামাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। রাস্তাঘাটে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন যান চলাচল। স্থানীয়দের গ্রামীণ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সাথে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ; শিশু এবং বৃদ্ধরা শারীরিকভাবে নানা সমস্যায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামরুল আলী জানান, শীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এতে তার কাজ কর্ম ব্যাহত হচ্ছে।ভ্যানচালক হামিদুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশা ও শীতে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে বের হলেও তেমন লোকজন হচ্ছে না।
এছাড়াও খেটে খাওয়া দিনমজুর সময়মতো কাজে যেতে না পারায় বিপদে রয়েছেন। কাজ করতে না পারায় রোজগার হচ্ছে না তাদের। এতে তারা সংসার পরিচালনার খরচ নিয়ে চিন্তিত।
ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। খেটে খাওয়া দিনমজুর সময়মতো কাজে যেতে না পারায় বিপদে রয়েছেন। কাজ করতে না পারায় রোজগার হচ্ছে না তাদের। এতে তারা সংসার পরিচালনার খরচ নিয়ে চিন্তিত।
এদিকে উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত চার হাজার শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ