পটুয়াখালীর দশমিনার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ফড়িয়ারা দখল করে ধানের ব্যবসায় করছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যান চলাচলসহ পথচারীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্কুলের সামনের সড়ক দখল করে ধান ফড়িয়াররা ব্যবসা করছে। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা সড়কের দক্ষিণের দুই পাশেই শতাধিক বস্তা ধান রেখে উঁচু টিলা বানিয়ে রেখেছে তারা। এ ছাড়া উপজেলার আরজবেগী বাজারের দক্ষিণ পাশে সড়কজুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ।
উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সড়কজুড়ে ধানের বস্তা রাখা হয়েছে। উপজেলার ঠাকুরের হাটে সড়কজুড়ে ধানের বস্তা, তারপাশে দাঁড়িয়ে আছে ট্র্যাক। এতে দেখা দিয়েছে যানজট। সড়কের এক-তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে ধানের বস্তা রাখা, ট্র্যাকে উঠানো এবং ভ্যানগাড়ি দিয়ে নামানোর কাজ করছে দিনভর ধান ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান, শীতের সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে দশমিনা-পটুয়াখালী ও বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে লোকজন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। অ্যাম্বুলেন্স, মালবাহী, ঢাকাগামী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ধানের বস্তা সড়কের বেশিরভাগ জায়গা দখল করায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। তা ছাড়া ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত ও সূর্য উদয়ের আগে যানবাহন চলাচলেও ঝুঁকি থাকে।
সদর ইউনিয়নের আরজবেগী বাজারের এলাকার বাসিন্দা মো. নাফিউল বলেন, এই বাজারে সন্ধ্যার পর এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজন এসে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনাবেচা করেন। এখন বাজারজুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ। কেউ দেখার নেই, মনে হচ্ছে ফড়িয়ারদের ধান ব্যবসা করার জন্য এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এ স্তুপের তলে শিশু ও বৃদ্ধরা যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারে।
দশমিনা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান প্যাদা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে ধানের বস্তা। এতে করে রাস্তায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবিষয় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিজা নাজ নীরা বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে জানাবো, খোঁজ-খবর নিয়ে ধান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ