নীলফামারী ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার আলু বীজের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে আলুর নতুন নতুন জাত ও উৎপাদনের কলাকৌশল সম্প্রসারণে বিএডিসি খামারটির ভূমিকা অন্যতম।
প্রতিবছর এই খামারটিতে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত নতুন নতুন আলুর জাতের ট্রায়াল স্থাপন করা হয় এবং পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশে চাষ উপযোগী নতুন জাতের বীজ উৎপাদন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। টিস্যু কালচার টেকনোলজির মাধ্যমে প্লান্টলেট এবং প্লান্টলেট থেকে মিনি টিউবার থেকে প্রাকভিত্তি ও ভিত্তিবীজ উৎপাদন মূলত এ খামারের বড় কার্যক্রম।
চলতি মৌসুমে প্রায় ৪১১ একরেরও বেশি জমিতে বীজআলু চাষাবাদ করা হচ্ছে। খামারটিতে উৎপাদিত সকল আলু বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হবে বলে জানায় বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন করে আসছে খামারটি। তবে এ সাফল্যের পিছনে সব থেকে বেশি অবদান রয়েছে খামারটির উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞার বলে জানান অন্যান্য কর্মকর্তা - কর্মচারীরা। তিনি প্রতিদিন সকালে আলুর প্লট পরিদর্শন ও নিবির পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি শ্রমিকদের নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
২০২৩-২৪ চলতি মৌসুমে এস্টারিক, সানসাইন, সানতানা, কার্ডিনাল, মিউডিকো, কারেজ, গ্রানোলা, আতাটো, ডায়মন্টসহ অন্যান্য মোট ২৬টি জাতের আলুর প্লান্টলেট হতে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫টি চারা তৈরি করা হয়েছে। চারাগুলো ২২.২৭ একর জমিতে রোপণ করা হয়েছে এবং মিনিটিউবার হতে প্রাকভিত্তি ১৭৬ একর ও প্রাক ভিত্তি হতে ভিত্তি ৭৮.৪৪ একর জমিতে লাগানো হয়েছে। তা ছাড়াও আমদানিকৃত বেসিক বীজ হতে ভিত্তি ১২২.১১একর জমিতে আলু চাষ করা হচ্ছে।
সহকারী উপ-পরিচালক সুব্র্রত মজুমদার বলেন, বিভিন্ন জাতের আলু হতে প্লান্টলেটের মাধ্যমে যে মিনিটিউবার (চারা) উৎপাদন করা হয়েছে, সেগুলো ভাইরাস মুক্ত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ও সহনশীল। খামারটিতে উৎপাদিত সকল আলু ভিত্তি বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হবে। আধুনিক যান্ত্রিকরণ পটেটো প্লান্টার দ্বারা আলু বীজ রোপণ, ডিগার দ্বারা আলু উত্তোলন করে গ্রেডার মেশিন দ্বারা বীজ আলু গ্রেডিং করে নিজস্ব হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়।
ডোমার ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ আলু উৎপাদনের আশা করা যাচ্ছে। খামারের সকলের প্রচেষ্টায় আলুসহ অনান্য ফসলের অধিক উৎপাদন হচ্ছে। তা ছাড়া খামারটিতে ১০ একর গম আবাদের পাশাপাশি যেসব জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে, সেগুলো বীজ আকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ