লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথাবিহীন অজ্ঞাতনামা ওই যুবকের মরদেহের পর এবার বাঁশঝাড় থেকে মাথা, মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে একদিন পর মাথা উদ্ধার হলে পরিবার মরদেহ শনাক্ত করে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউানিয়নের দালালপাড়া থেকে ওই যুবকের মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে একই ইউনিয়নের রমনীগঞ্জে ভুট্টা খেত থেকে তার মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ওই যুবকের নাম মানিকুল ইসলাম। তিনি উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেশী একজনের ভ‌্যান চুরির অভিযোগ ওঠায় কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মানিকুল ইসলাম। এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবার। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হন। শুক্রবার বিকেলে ভুট্টা খেতে তার মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুরি, মোবাইল ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত না হলেও স্থানীয়দের ধারণা, ওই ভ্যান চুরির কারণে মনিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চুরির ঘটনায় মনিকুলের সাথে আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদের সাথে হয়তো কোনো দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তাকে হত‌্যা করা হয়। এরই মধ্যে চুরি হওয়া ভ্যানও উদ্ধার করেছে সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ।

মনিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে তার স্বামীর সাথে কথা হয়। তাকে জানান, রাত ৮টার মধ‌্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।

হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মানিকুলের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ