মাঘের কন কনে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। গত কয়েকদিন ধরেই চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট আর হিমেল বাতাস।
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এই শীতের সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি পড়ায় সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীর গতিতে।
এদিকে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। পাওয়া যাচ্ছে না কৃষি শ্রমিক। আর যাদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সিরাজুল বলেন, শীতের কারণে জমিতে চারা রোপণের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যারা কাজ করছেন, তাদের বেশি মজুরি দিয়েই কাজে আনতে হচ্ছে। এতে করে উপাৎদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
দিনমজুর মোতালেব মন্ডল বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছি না। এই ঠান্ডা বাতাসে কাজ করতে গেলে হাত-পা কোকড়া লেগে যাচ্ছে। আবার কাজ না করলেও সংসার চলবে না। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।
শহরতলী দৌলাতদিয়াড় গ্রামের আটোচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুপুরের আগে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। সূর্যের দেখা মিলছে না। মানুষের চলাচল কমেছে রাস্তায়, তাই ভাড়া কম। এত করে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ।
তবে এই তাপমাত্রা ১০-এর নিচে না নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ