ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দগ্ধ সেই মরদেহের পরিচয় মিলেছে, থানায় মামলা

প্রকাশনার সময়: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চারাখেত থেকে উদ্ধার হওয়া আগুনে পোড়া (দগ্ধ) সেই মরদেহের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। নিহত দিরাই উপজেলার মাতারগাঁও গ্রামের চন্দন মিয়ার স্ত্রী পিয়ারা বেগম ওরফে রিনা বেগম (৫৩)।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ওই নারীর মেয়ে সুভা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই জামিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার পেছনে বোরো জমির চারাখেতে অজ্ঞাতনাম এক নারীর আংশিক আগুনে পোড়া (দগ্ধ) মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে সিআইডি ও পিবিআই বিশেষজ্ঞ দল ওই মরদেহের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তার ছবি ও নাম ঠিকানা জানতে পারেন। এরপর ওই নারীর স্বজনদের সন্ধানে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামে ওই নারীর মেয়ে সুভা বেগমের সন্ধান পায় পুলিশ।

মামলার বাদী সুভা বেগম বেগম বলেন, ৩০ বছর আগে বাবার সঙ্গে মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মা চন্দন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। ৫ বছর আগে চন্দন মিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে তিনি আমার স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।

সুভা বেগম আরও বলেন, এক মাস আগে তিনি আমার খালার বাড়ি দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামে বেড়াতে যান। সেখান থেকে মঙ্গলাবার (১৬ জানুয়ারি) ছাতক উপজেলার শ্রীমতিপুর যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে মায়ের আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পাই।

এসময় তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, আমার মাকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না।

জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর দুটি বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামী চন্দন মিয়ার সঙ্গেও অনেকদিন ধরে সম্পর্ক নেই। ময়নাতদন্ত শেষে ওই নারীর পরিচয় পাওয়ার পর, তার মেয়ের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর বলেন, আগুনে পোড়া ওই নারীর মরদেহ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। প্রথমে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। পরিচয়পত্রের ঠিকানা অনুযায়ী ছাতক উপজেলায় খোঁজ নিয়ে তার স্বজনদের পাওয়া যায়নি। পরে দিরাই উপজেলায় তার স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যায়। পরিচয় শনাক্তের পর এখন আমরা এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করছি। আশা করছি, দ্রুতই আমরা রহস্য উদঘাটনসহ অপরাধীদের ধরতে পারব।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ