সাকোয়াটেক্স রাজশাহীর একটি সোয়েটার কারখানা। এ কারখানার শ্রমিকদের কারও কারও তিনমাস থেকে আটমাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়েছে! বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিকরা। তাই বেতন আদায়ে আন্দোলন শুরু করেছেন তারা।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেতনের দাবিতে কনকনে ঠান্ডায় কারাখানায় অবস্থান নিয়ে রাত কাটান শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার বিকেলেও তারা আন্দোলনে ছিলেন। এভাবেই তীব্র শীতে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে আন্দোলন করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাকোয়াটেক্স নামের এ কারখানাটি রাজশাহী মহানগরীর বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের এনা গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটি। বর্তমানে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কর্মরত আছেন এ সোয়েটার কারখানায় আর সবার বেতনই বকেয়া পড়েছে।
শ্রমিকরা জানান, কারও তিন মাস, কারও আটমাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তিন-চার মাস ধরেই প্রতিসপ্তাহে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রতি সপ্তাহের সোমবার কিংবা বৃহস্পতিবার বেতন দেওয়া হবে বলে কারখানার কর্মকর্তারা জানান। কিন্তু সেই দিন আসলে আর বেতন দেওয়া হয় না। এভাবেই সুকৌশলে মাসের পর মাস শ্রমিকদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে। দিনের পর দিন বেতন ছাড়াই মানবেতর জীবন কাটছে শ্রমিকদের।
সাকোয়াটেক্স কারখানার নারী শ্রমিক আশা বেগম, সম্পা খাতুন ও সেলিনা বেগম বলেন, কারখানাটি শুরুর পর এর আগেও একাধিকবার এরকম বেতন আটকে গিয়েছিল তাদের। বিনা বেতনে স্বামী-সন্তান ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ পার করতে হয়েছে। কিন্তু বেতন আটকে থাকা এবং কর্মসংস্থানের অভাব থাকায় তারা এ চাকরি ছাড়তে পারেননি। এ সুযোগে মালিকপক্ষ দিনের পর দিন বেতন বকেয়া রেখেছেন। এবার দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়ায় তারা আন্দোলনে নেমেছেন। বকেয়া বেতন না দেওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন না।
তবে কারখানা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন প্রশ্নে এনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। মাত্র এক মাসের বেতন বাকি আছে। কারখানার সোয়েটার রপ্তানিতে সম্প্রতি একটু ঝামেলা হয়। তাই শ্রমিকদের এ বেতন বকেয়া পড়ে। আর আজকের মধ্যেই তা দেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/জনাবআলী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ