গত কয়েক দিন ঘন কুয়াশার পর্দা ভেদ করে সূর্যের আলো আসেনি হোসেনপুরে। তবে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে। তাপমাত্রা বেশি না কমলেও সূর্যের আলোয়
উষ্ণতার পরশ পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। কর্মজীবীদের কাজে যেতে বেগ পেতে হয়েছে কম।
ঝলমলে রোদে স্বস্তি এসেছে জনমানুষের মনে। গায়ের মোটা কাপড় ফেলে নিঃশ্বাস ছাড়ছেস তারা। হোসেনপুরে টানা সাত দিনের ঠান্ডায় কাবু হয়ে যাওয়া অনেককেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সূর্যের আলো পোহাতে দেখা যায়। সড়কে বেড়ে যায় মানুষের চলাচল।কালু মুন্সী নামে একজন বলেন, সকাল সকাল সূর্য ওঠায় ভালো লাগছে। কয়েকদিন হলো ঠান্ডায় একবারে জমে ছিলাম। ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছিল। আজ একটু বের হয়েছি।
পশ্চিম দ্বীপেশ্বর গ্রামের রাসেল বলেন, গত কয়েক দিনে ঠান্ডাটা মারাত্মকভাবে মানুষকে কাবু করছে। অন্যান্য বছরে এত শীত পড়েনি। আজকে রোদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে এসে বসে আছি। সূর্যের তাপটা খুবই মিষ্টি লাগছে। যতক্ষণ রোদ থাকে ততক্ষণ একটু শরীরটা গরম করে নেই।
সূর্য ওঠার পরে ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে নামতে দেখা গেছে খানসামার অনেককেই। হাটবাজার ও গ্রামগুলিতে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। সেই সঙ্গে গৃহিণীরা কাপড় ধোঁয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লোকজন ঘরের বাইরে এসে রোদ পোহাচ্ছেন। রিকশাচালক রমজান বলেন, গত কয়েক দিনের শীতে রিকশা চালাতে পারছি না। আজ সূর্য দেখা দেওয়ায় আবহাওয়াটা ভালো লাগছে।
হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঠান্ডায় বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক দেবাঞ্জ ঠাকুর বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময় সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে। শিশুদের প্রতিও যত্নশীল হতে হবে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ