পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডে অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে কোনরকম বসবাস করতেন মোশারফ গাজী ও শিরিন দম্পতি। তাদের সংসারে সফিকুল ইসলাম নামের ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে আছে। মোশারফ পেশায় দিনমজুর। আর তার স্ত্রী শিরিন বেগম অন্যের বাসায় ঝি এর কাজ করেন। এতে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের অভাবের সংসার। জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে ঝড়বৃষ্টি এবং শীতের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হতো তাদের।
তাদের এই দুর্বিসহ জীবন নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি একটি ফেসবুক পেজে ভিডিও প্রচারিত হলে তা বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীর নজরে আসে। তিনি ওই দম্পতিকে শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডে নির্মিত মুজিববর্ষের একটি ঘর উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ওই দম্পতিকে উপহারের সেই ঘরে তুলে দেন। সাথে ১ মাসের চাল ও কম্বল দিয়ে সহযোগিতা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ড, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু, প্রথম আলোর প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমান, যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম ইমন, ঢাকা পোস্টের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম সাগর, রুমন সিকদার, ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার কামরুল হাসান, ৫নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
মুজিব বর্ষের উপহারের ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহার হয়ে যান মোশারফ ও শিরিন দম্পতি। ঘর পেয়ে মোশারফের স্ত্রী শিরিন বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি একটি ঘর পামু। তাও আবার প্রধামমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর। আমি তার জন্য পরান ভরে দোয়া করি। তাকে যেন আল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে বাঁচিয়ে রাখে।’ পাশাপাশি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী, সহকারী কমিশনার ভূমি প্রতীক কুমার কুন্ড ও খবর বাউফলের ধন্যবাদ জানান।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ