বাস মালিকদের দ্বন্দ্বের জেরে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধা-বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকাগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিকরা।
বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলাশবাড়ী পৌর মেয়র ও বাস, মিনিবাস ও মাইক্রো মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব ইসলামের জান্নাত পরিবহন নামের একটি বাস কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে বরিশালের কুয়াকাটা পর্যন্ত যাতায়াত করতো। হঠাৎ করে কুড়িগ্রাম বাস, মিনিবাস ও মাইক্রো মালিক সমিতি গতকাল সেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরই প্রতিবাদে পলাশবাড়ী বাস, মিনিবাস ও মাইক্রো মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব ইসলাম কুড়িগ্রামের দুটি বাস পলাশবাড়ীতে আটকে রাখে। পরবর্তীতে বগুড়া বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া অধিকাংশ বাস বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে বাস না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বিকল্প যানবাহনে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল চালু রয়েছে।
পলাশবাড়ী বাস, মিনিবাস ও মাইক্রো মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব ইসলাম বলেন, 'কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে আমার একটি বাস বরিশালের কুয়াকাটা যেত। অজানা কারণে তারা আমার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমিও তাদের (কুড়িগ্রামের) দুটি বাস আটকে রেখেছি। পরবর্তীতে বগুড়া বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
আপনাদের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই জটিলতা তৈরি করেছে কুড়িগ্রাম। উভয় পক্ষের মধ্যে আপোস না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাস চলাচল বন্ধ আছে বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'বাস মালিক সমিতি তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। বিষয়টি দ্রুত নিরসনের চেষ্টা চলছে।’
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ