টাঙ্গাইলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। শীতের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ গরম পোশাক পড়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। তীব্র কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এদিন জেলায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালাই। আর এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। সাধারণ সময়ের চাইতে অন্তত তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
জেলা আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমেছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেই সাথে বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ।
টাঙ্গাইল পৌরসভার আকুর টাকুর পাড়া, কাগমারা, এনায়েতপুর, বাঘিল ইউনিয়নের দুরিয়াবাড়ী, ধরেরবাড়ী, টাবলাপাড়া, যুগনী, দাইন্যা ইউনিয়নের বাউসা, বাইমাইল ও পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের খাড়জানাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকাতেই উত্তরের তীব্র ঠান্ডা বাতাস বইছে। শীতের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ গরম পোশাক পড়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
শহরের হাজেরা ঘাট এলাকার রিকশাচালক আকবর আলীর সাথে পৌরউদ্যান এলাকায় কথা হয়। এ সময় তিনি বলেন, রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা কম। আগে দৈনিক ৭শ থেকে ৮শ টাকা আয় হলেও গত কয়েকদিন ধরে আয় হচ্ছে ৫শ টাকার মতো। এতে আমাদের সংসারিক ব্যয় বহণ করা কষ্ট হচ্ছে।
শহরের প্রেসক্লাবের নিচে জুতা সেলাই কাজ করা শিবনাথ জানান, শহরের লোকজন নেই। আয় রোজগারও তেমন একটা নেই। শীতে বাইরে বসে কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও পেটের দায়ে এসেছি কাজ করতে। কিন্তু লোকজন কম আসায় কাজ হচ্ছে না।
ঘারিন্দা এলাকার কৃষক হুমায়ুন জানান, কয়েকদিন পর পুরোদমে বোরো মৌসুম শুরু হবে। তার আগে খেতে কিছু কাজ থাকে। শীতের কারণে সেই কাজটুকুও করতে পারছি না। দুইজন কামলা নিছি। কিন্তু শীতের কারণে তাদের কাজ তেমন একটা হচ্ছে না।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, দিন দিন টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমছে। সামনে আরও তাপমাত্রা কমবে।
জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্বল মজুদ রয়েছে। প্রতিদিনই দুস্থ মানুষের মধ্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার সকল উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ দেয়া কম্বল বিতরণ করা শেষ হয়েছে। শীত নিবারণে আমাদের শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ