প্রখ্যাত আলেম ক্বারী ইব্রাহীম (র.) প্রতিষ্ঠিত কচুয়ার ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া উজানী মাদরাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাদ ফজর তালিমের মাধ্যমে ঐতিহাসিক এ মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান ও বিশ্বের বিভিন্ন মাদরাসা থেকে বিশিষ্ট আলেম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মাহফিলে এসে পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিনব্যাপী দেশের প্রখ্যাত আলেমদের ওয়াজ ও দোয়া শেষে শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর লাখো মুসল্লির সমাগমে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটবে।
মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন ক্বারী ইবরাহিম (রা.)-এর তিন পুত্র মাওলানা আশেক এলাহী, ফজলে এলাহী এবং মাহবুব এলাহী।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রথম দিনে সকাল ১০টায় মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়ে তা রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। এসময় দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেমরা বয়ান পেশ করবেন।
এদিকে উজানীর এই মাহফিলে আগত মুসল্লিরা স্থানীয়দের কাছে অনেক সম্মানী। এলাকাবাসী মনে করেন, এসব মেহমান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য নেয়ামত। মাহফিলে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন মাহফিল শেষে রাতে বাড়ি নিয়ে বিশেষ সমাদর ও আপ্যায়ন করে থাকেন।
ঐতিহাসিক উজানী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ক্বারী ইব্রাহিম (র.) সৌদি আরবের ইলমে ক্বেরাতের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মাদরাসা সওলতিয়ায় কুরআন তেলাওয়াতে উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করেন। ওই সময়ে তিনি আন্তজার্তিক ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি ভারতের গাংগুহে ফকিহে মিল্লাত আল্লামা রশীদ আহমেদ গাংগুহী রহমাতুল্লাহ আলাইহির তত্ত্বাবধানে আধ্যাতিক জ্ঞান অর্জন করেন। অতঃপর ১৯০১ সালে দ্বীন ইসলাম ও ইলমে কেরাত প্রচারে কচুয়া উপজেলার উজানীতে এসে জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
কচুয়ার ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে যেসব ঐতিহ্য, তন্মধ্যে উজানী গ্রামের প্রাচীনতম এক গম্বুজবিশিষ্ট শাহী মসজিদ ও হজরত শাহ নেয়ামত শাহ (রহ.) এর মাজার অন্যতম।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক বখতিয়ার খাঁ মসজিদ, বেহুলার পাটা এবং শাহ নেয়ামত শাহ (রহ.) এর দরগা।
কচুয়া উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে উজানী গ্রাম। বর্তমানে রয়েছে ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ