দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় একের পর এক বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর রক্ষিত ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। চোর তো নয়, যেন বিজ্ঞানী! ৪৪০ ভোল্টকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চোরেরা এ পর্যন্ত প্রায় ১৬টি ট্রান্সফরমার চুরি করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে এ পর্যন্ত চোরেরা ধরা পড়েনি।
৭নম্বর বিজোড়া ইউপির দক্ষিণ বহলা গ্রামের মুরগির ফার্মের ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, চোরের উপদ্রব দারুণভাবে বেড়েছে আমার ট্রান্সফরমারটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর মুরগির ফার্ম বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে মুরগি বাঁচানো সম্ভব নয়।
মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলির পুত্র মো. মাজেদুর রহমান জানান, শ্রীকৃষ্ণপুর গুচ্ছগ্রাম নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার গভীর রাতে আশপাশের বাড়ির দরজায় খিল মেরে ট্রান্সফারমারটি চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বিরল জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ডিজিএম মো. মামুনুর রশিদ এ প্রতিনিধিকে জানান, বিরল উপজেলার ১, ৭, ৮, ৯, ১২ নম্বর ইউনিয়নে মোট ১৬টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকাগুলিতে চোরের উপদ্রব বেশি। চুরির ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনা হয়েছে। চুরি রোধে গ্রাহকদের সাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উপজেলা জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে, ডিভাইস বসানো হয়েছে, কোনো চোর ট্রান্সফরমার চুরি করতে গেলেই এলার্ম বেজে উঠবে। এতে চোর ধরতে আমাদের সুবিধা হবে। চুরি যাওয়া ১৬টি ট্রান্সফরমার চোরদের খুব দ্রুতই শনাক্ত করে ধরা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ