ঝিনাইদহের মহেশপুর চোরাকারবারি ব্যবসা নিয়ে নেপা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামে চোরাকারবারি তরিকুল ইসলাম আকালের গুলিতে শামিম হোসেন ও মন্টু মিয়া নামে দুই চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শামসুল ইসলাম নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে আকালের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করতে যায় শামিম ও মন্টু। এসময় আকাল তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে।
শামিম হোসেন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ছামসুল ইসলামের ছেলে এবং মন্টু মিয়া একই গ্রামের নয়ন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারী তরিকুল ইসলাম আকাল পলাতক রয়েছেন।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তরিকুল ইসলাম আকাল, শামিম ও মন্টুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার বিকেলে বিরোধের জেরে শামুসল ইসলাম ও তার ছেলে শামিম এবং মন্টু মিয়া দেশী অস্ত্র নিয়ে তরিকুল ইসলাম আকালের বাড়িতে হামলা চালাতে আসে। এ সময় আকালে তার বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালায়। এতে শামিম ও মন্টু দুইজনই গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই শামিম নিহত হন। অপরদিকে মন্টু জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
মহেশপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, নিহতরা সবাই চোরাচালানের সাথে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ গ্রেফতার করতে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। এছাড়া বিজিবি সদস্যরাও সীমান্তে অভিযান শুরু করেছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ