টাঙ্গাইলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিনিয়তই জেলার কোনো না কোনো স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। জেলায় এক বছরে ৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯১ জনের প্রাণ ঝরেছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয় ৮৪ জন।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ওপরই নয়, সমাজ জীবনেও পড়ে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সড়ক আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার করার দাবি জানান গাড়ি চালকরা।
পুলিশ বলছে, চালকের অসর্তকতা, অদক্ষতা এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় এ সব দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিরাপদ সড়কের জন্য মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধ, সড়ক ব্যবহারকারীদের গণসচেতনতা এবং সুশিক্ষা পারে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫টি দুর্ঘনায় ৪ জন নিহত, ২ জন আহত, ফেব্রুয়ারিতে ৭টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১ জন আহত, মার্চে ৫টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৩ জন আহত, এপ্রিলে ৩টি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত, মে মাসে ৭ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, ৫ জন আহত, জুনে ১২টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ১০ জন আহত, জুলাই
কয়েকজন গাড়িচালক বলেন, উঠতি বয়সের ছেলেরা মোটরসাইকেল নিয়ে যখন বের হয়, তখন তারা অতিরিক্ত গতিতে চালায়। এছাড়াও তারা প্রতিযোগিতা দিয়ে থাকে। তাই বিশেষ করে মোটরসাইকেলচালকদের জনসচেনতার জন্য সেমিনার করা প্রয়োজন। এ বছর যত দুর্ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে মোটরসাইকেলচালকের সংখ্যাই বেশি।
নিরাপদ সড়ক চাই টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি বলেন, অল্প দক্ষ বা অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানোই সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়াও মোটরসাইকেলচালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে জীবনহানি না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক সেমিনার করে থাকেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক শেখ মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরাপদভাবে গাড়ি চালাতে হলে সর্বপ্রথম গাড়ি চালানোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। যখনই গাড়ি চালানো হয় তখন খেয়াল রাখা উচিত মনোযোগ যেন গাড়ি এবং রাস্তার দিকেই থাকে। কখনই গাড়ি এবং রাস্তা থেকে মনোযোগ সরানো উচিত হবে না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, অনেক সময় প্রতিযোগিতা করে অনেক ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে থাকেন। এটি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাই ঠান্ডা মাথায় গাড়ি চালানো উচিত। প্রতিযোগিতা না করে সঠিকভাবে গাড়ি চালালে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশই কমে যাবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ