বরগুনার বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মোসা. মেঘলা আক্তার (১৯) ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে।
উপজেলার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রসূতি মোসা. মেঘলা আক্তার উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের (তারেক) স্ত্রী।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রসূতি মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করানো হয়। একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস, পরিচালক মো. রেজাউল ইসলামসহ ৫/৬ জনে মিলে তার সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করেন।
রাত পোনে ১১টায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি মেঘলা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা, ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্টাফরা পালিয়ে যান।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বামনা থানা অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে মেঘলার বাবার বাড়ি উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রাম থেকে প্রসূতি ও নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠায়।
এরপরে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বামনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এবং বামনা থানা অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মন্ডল সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। সুন্দরবন হসপিটাল কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসূতি মেঘলা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মোবাইলে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ