ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গফরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশনার সময়: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৫

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হারুন অর রশিদ নামে এক হোমিও চিকিৎসককে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কুপিয়ে হত্যা করেছেন রুবেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

হারুন অর রশিদকে হত্যার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়িতে গেলে আত্মরক্ষার্থে রুবেল নিজ বাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে গনপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সাধারণ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাগলা থানা পুলিশ ৪টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

নিহত হারুনের গয়েশপুর বাজারের সনি সিনেমা হল রোডে নিজস্ব একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। সেখানে তিনি বসবাস করার পাশাপাশি ‘ফিরোজা হোমিও হল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

নিহত চিকিৎসক হারুনের ছোট ভাই পাইথল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম মেম্বারকে এর আগে ২০১৩ সালে ঘাতক রুবেল গয়েশপুর বাজারে প্রকাশ্যে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ছিলেন রুবেল মিয়া। আর মামলার প্রধান স্বাক্ষী ছিলেন নিহত হারুন অর রশিদ। এমনটিই জানা গেছে নিহতের স্বজন, প্রতিবেশী ও থানা পুলিশ সূত্রে।

প্রতিবেশী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত হারুন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রামদা নিয়ে ঘাতক রুবেল অর্তকিত হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে হারুন দৌড়াতে গিয়ে সনি সিনেমা হলের সামনে পড়ে যান। সেখানেই রামদা দিয়ে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে হারুনের মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজ বাসায় চলে যায় রুবেল। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় রুবেল তার নিজ বাড়িতে আগুন দেয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলকে ধরে গনপিটুনি দেয়। রুবেলের মা বিউটি আক্তার রুবেলকে বাঁচাতে এলে বিউটি আক্তারও গনপিটুনির শিকার হয়। এ খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে ৪টি ফাকাঁ গুলি করে।

নিহত হারুন অর রশিদের ভাই কামরুল মেম্বার বলেন, রুবেল মাদক কারবারি ও কুখ্যাত ডাকাত। অনেক নারীর ধর্ষণকারী। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে সে প্রকাশ্যে খুন করেছে। আমাকেও খুন করতে চেয়েছিল। প্রকাশ্যে দিবালোকে বাজারে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়মনাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। ঘাতককে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ