উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ফারাকও কমেছে। এতেই নামছে কনকনে শীত। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু জনজীবন। চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পুরো রাজশাহী। শীতজনিত নানা জটিলতায় রোগীদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
জেলায় রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন।
এর আগে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১৩.৩ ডিগ্রি।
রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব কাছাকাছি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ উপজেলা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ৬২ জন। আর শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয় ৭২ জন। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। এক্ষেত্রে বাড়তি ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, উপজেলা পর্যায়ে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে ভর্তি রোগীর চেয়ে আউটডোর রোগীর সংখ্যা বেশি। আর পরিস্থিতি খুব খারাপ, এমনটা না। এ সময়টায় রোগী কিছুটা বাড়ে। ব্যবস্থাপনাও সেভাবে করা আছে।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ