ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মৃত্যুর ১২ বছর পর জীবিত দেখিয়ে আবেদন!

প্রকাশনার সময়: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

যশোদা দেবনাথ নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন প্রায় ১২ বছর আগে। অথচ তাকে জীবিত দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে। আবেদন যাচাইবাছাই না করেই কর্তৃপক্ষ তার নামে নেয়া মিটারটি পরিবর্তন করে শান্তি রঞ্জন দেবনাথ নামের অন্য এক ব্যক্তির নামে দিয়েছেন। শান্তি রঞ্জন দেবনাত মৃত যশোদা দেবনাথের বাসার ভাড়াটে।

অভিযোগ রয়েছে, যশোদার বাসাটি দখলে নেয়ার জন্যই অবৈধভাবে ভাড়াটে শান্তি রঞ্জন তার নামে ওই মিটার সংযোগ নিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পটুয়াখালীর বাউফল জোনাল অফিসের আওতাধীন বাউফল পৌরসভার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, বাউফল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক এলাকায় যশোদা দেবনাথের পাকা টিনশেড ঘর রয়েছে। প্রায় ৪০ বছর পূর্ব থেকে ওই ঘরে তার নামে বিদ্যুতের মিটার (হিসাব নম্বর-২৪৫/১৪২০) ছিল। তিনি ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘর ভাড়া দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা পাশের দশমিনা উপজেলার গোপালদি গ্রামে থাকেন। সেই সুযোগে শান্তি রঞ্জন দেবনাথ নামে তার এক আত্মীয় মৃত যশোদা দেবনাথকে জীবিত দেখিয়ে তার নামের মিটারটি হস্তান্তরের জন্য পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করেন। একই স্থানে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর শান্তি রঞ্জন দেবনাথের নামে একটি নতুন মিটারের (যার হিসাব নম্বর ২৪৫/১৪৪৫) সংযোগ দেন এবং ওই ঘরটি তিনি দখল করে নেন।

যশোদা দেবনাথের ছেলে কানাই চন্দ্র দেবনাথ অভিযোগ করেছেন, পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স ও বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। কোনো বকেয়া নেই। এরপরেও তার মৃত বাবাকে প্রায় ১২ বছর পর জীবিত দেখিয়ে তার (যশোদা) নামে আবেদন করে মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একই স্থানে অন্য নামে নতুন মিটারের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পুনঃসংযোগ দেওয়ার জন্য পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বরাবরে আবেদন করেন। এক বছর পর্যন্ত দেই, দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। নিরুপায় হয়ে তিনি পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শান্তি রঞ্জন দেবনাথ বলেন, মৃত ব্যক্তির নামে কে বা কারা আবেদন করেছেন তা তিনি জানেন না। তবে তিনি যে তার নামে মিটার নিয়েছেন, তা তার ঘরেই স্থাপন করেছেন বলে দাবি করেন।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন।’

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ