কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলার কুতুবদিয়ার বাসিন্দা জেলে মো. রমজান আলী (৩৫) ৯দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে মাছ ধরার কথা বলে সাগরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে পরিবার।
নিখোঁজ রমজান আলী উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের রোমাইপড়া এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি চার সন্তানের জনক।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি রাতে রমজান আলীকে সাগরতরী নামের একটি ট্রলারে সাগরে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় কাইমুল বশর, আবুল বশর ও ট্রলারের মাঝি মো. কালু। ওই ট্রলারের ২৭ মাঝিমাল্লার সাথে ছিলেন ট্রলার মালিক কাইমুল বশরও। গত ৯ জানুয়ারি ট্রলারসহ তারা বাড়িতে চলে আসলেও বাড়ি ফেরেনি রমজান। ট্রলার মালিক কাইমুল দাবি করে রমজান আলী সাগরে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। ট্রলারে অন্যরা জীবিত থাকলে এক জনের মৃত্যু হয় কিভাবে? এই প্রশ্নে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হয়, পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে সাগরে হত্যা করা হয়েছে।
নিখোঁজ রমজানের ছোট ভাই মো. ইয়াছিন বলেন, এ ঘটনার আগে ট্রলার মালিক কাইমুল বশরের সাথে রমজান আলীর বেতন নির্ধারণের বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এজন্য মাছ ধরতে যেতে না চাওয়ায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়। পরে গত ৫ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে তাকে বাড়ি ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে বিচার আশা করছি।
ট্রলার মালিক কাইমুল বশর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলার থেকে পানিতে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ট্রলারের মাঝি কালু। রমজান আলীকে সাগরে খোঁজাখুঁজি করছেন ট্রলারে থাকা অন্যরা। তবে এখনও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, জেলের ঘটনা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ