রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির বিপরীতে টিউশন ফি, গোপনে কমিটি গঠনসহ অর্থ নয় ছয়ের অভিযোগ করেছে ওই বিদ্যালয়ের দাতা কমিটির সদস্যর ও অভিভাবকরা।
এছাড়াও বিদ্যালয়ে উন্নয়নের কথা বলে অনিয়ম করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেদের ফাঁকা রেজুলেশন বইয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
দাতা কমিটি ও অভিভাবক সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছরের আয়-ব্যয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি।
এমনকি প্রধান শিক্ষক হাফিজ উন্নয়নের নামে সুকৌশলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ১০টি উন্নয়ন খাতের লক্ষ লক্ষ টাকা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই আত্মসাৎ করেন। মাসে পর মাস সদস্যদের নিয়ে বিদ্যালয়ের কোনো সভা না ডেকে নিজে নিজের ইচ্ছায় স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন প্রস্তাব পাঠান শিক্ষা বোর্ডে। বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন নিয়েও প্রধান শিক্ষকের রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা বলেও অভিযোগ করেন দাতা ও অভিভাবক সদস্যরা।
এদিকে, মাসের পর মাস ম্যানেজিং কমিটির সভা না ডেকে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ পূর্বে স্বাক্ষর নেওয়া ফাঁকা রেজুলেশন বহিতে রেজুলেশন লিখে হিসাব নিকাশ দিতে তালবাহানা করেন।
বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিমের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগতির জন্য অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টায় এমন মিথ্যা অভিযোগ কেউ করেছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক আয়ের জায়গা রয়েছে স্বীকার করেন। তবে প্রতিষ্ঠানের এসব অর্থ ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহযোগিতায় কাজ করা হয় বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ